কুমিল্লার দেবিদ্বারে নাজমুল হাসান নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার উপজেলার মোহনপুর পূর্বপাড়া সহিদ চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের সড়ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত নাজমুল হাসান (২৫) উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি জুট মিলের শ্রমিক ছিলেন। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছে পরিবার।
মৃতের বড় ভাই সোহাগ মিয়া জানান, নাজমুল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন হাড়িখোলা জুটমিল গেইট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী মানসুরা বেগম (২২) ও দুই বছর বয়সী কন্যা সন্তান মিম আক্তারকে নিয়ে বসবাস করতেন। হাড়িখোলা জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নাজমুল চট্টগ্রাম কালুরঘাট কর্ণফুলী জুট মিলে চাকরি নেয়। সে পাঁচদিন আগে উপজেলার রাজামেহার গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। রবিবার বিকেলে খালার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সোমবার তার মরদেহ খুঁজে পাই। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছি।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে জানতে পারি সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে দেওয়া সেডিল ট্যাবলেট অতিরিক্ত সেবনেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।